ভিসির পদত্যাগ; বাঁধভাঙা উল্লাস গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের

0
238
ছবিঃ সংগ্রহীত

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের খবরে বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করছে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে। রং ছিটাচ্ছে। বাদ্যযন্ত্র দিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে। মিস্টি বিতরণ করছে।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী সামস জেবিন জানিয়েছেন অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন এবং নানাবিধ দুর্নীতির জন্য তারা ১২ দিন যে আন্দোলন করছে এবং ইউজিসি তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি বাধ্য হয়েছেন পদত্যাগ করতে।

শিক্ষার্থীরা আরো দাবি করছে, শুধু পদত্যাগেই হবে ওই ভিসি খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

দাবিতে টানা ১২ দিনের মত আন্দোলন চালিয়ে প্রাথমিক বিজয় পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। টানা আন্দোলনের ১২তম দিনে সংবাদ সম্মেলন, পরিচ্ছন্ন অভিযানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আন্দোলনস্থলে যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
আন্দোলনের অংশ হিসাবে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেস ব্রিফিং করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো: আল গালিব।

প্রেস ব্রিফিংয়ের শুরুতেই ইউজিসিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলা হয়, যারা ভিসি’র অপকর্ম, দুর্নীতি, স্বৈরাচারণ, যার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান করার যে ষড়যন্ত্র করছিলেন তার বাস্তব রূপ অনুসন্ধান করে তার বহিষ্কার দাবি করা হয়। একই সাথে ইউজিসি’র সুপারিশ আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়। পরে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিকাল ৪টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সাথে ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত নিয়মিত কর্মসূচি অর্থাৎ ভিসির অপসারণের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবেন বলে শিক্ষার্থীর ঘোষণা দেন।

এদিকে, গতকাল রোববার ইউজিসির ৫ সদস্যের তদন্ত দল তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ভিসিকে অপসারণের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরপরই ওই দিনই রাত ৯টার দিকে ভিসি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলো ছেড়ে পুলিশ পাহারায় ঢাকায় যান।

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিনিয়ার বহিষ্কার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়।

১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের খবরে বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করছে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে। রং ছিটাচ্ছে। বাদ্যযন্ত্র দিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে। মিস্টি বিতরণ করছে।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী সামস জেবিন জানিয়েছেন অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন এবং নানাবিধ দুর্নীতির জন্য তারা ১২ দিন যে আন্দোলন করছে এবং ইউজিসি তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি বাধ্য হয়েছেন পদত্যাগ করতে।

শিক্ষার্থীরা আরো দাবি করছে, শুধু পদত্যাগেই হবে ওই ভিসি খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

দাবিতে টানা ১২ দিনের মত আন্দোলন চালিয়ে প্রাথমিক বিজয় পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। টানা আন্দোলনের ১২তম দিনে সংবাদ সম্মেলন, পরিচ্ছন্ন অভিযানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আন্দোলনস্থলে যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
আন্দোলনের অংশ হিসাবে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেস ব্রিফিং করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো: আল গালিব।

প্রেস ব্রিফিংয়ের শুরুতেই ইউজিসিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলা হয়, যারা ভিসি’র অপকর্ম, দুর্নীতি, স্বৈরাচারণ, যার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান করার যে ষড়যন্ত্র করছিলেন তার বাস্তব রূপ অনুসন্ধান করে তার বহিষ্কার দাবি করা হয়। একই সাথে ইউজিসি’র সুপারিশ আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়। পরে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিকাল ৪টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সাথে ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত নিয়মিত কর্মসূচি অর্থাৎ ভিসির অপসারণের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবেন বলে শিক্ষার্থীর ঘোষণা দেন।

এদিকে, গতকাল রোববার ইউজিসির ৫ সদস্যের তদন্ত দল তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ভিসিকে অপসারণের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরপরই ওই দিনই রাত ৯টার দিকে ভিসি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলো ছেড়ে পুলিশ পাহারায় ঢাকায় যান।

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিনিয়ার বহিষ্কার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়।

১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

মূল সংবাদঃ আলোকিত বাংলাদেশ