প্রতিবেদকঃ শেখ হেদায়েতুল্লাহ, খুলনা
১৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদজ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতিসহ জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। রোববার সকাল ৬টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের সাথে ধর্মঘটকারীদের দাবি দাওয়া নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শ্রমিকরা খুলনা মহানগরীর কাীলশপুর থানার কাশিপুরে বৈরব নদের পাড়ের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি তেল ডিপোর তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রেখেছে। ফলে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবিসমূহ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা তালবাহানা করছে। বার-বার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। ফিলিং স্টেশন তথা জ্বালানি ব্যবসায়ীদের উপর অযথা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দপ্তর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিধান। যা মেনে নিয়ে জ্বালানি ব্যবসা করা আদৌ সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে।
তাদের দাবি সমূহ হচ্ছে জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ প্রদান, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার বা এজেন্টদেরকে অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমতির সাধারণ সম্পাদক ও বাদামতলা মোড়ল ফিলিং স্টেশনের মালিক মো: আব্দুস সোবহান মোড়ল বলেন, কর্মবিরতি চলাকালে খুলনার পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তেল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রয়েছে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলাসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫ জেলায় ট্যাংকলরির চাকা বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে পেট্রোল পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন সোমবার ঢাকায় বিপিসি( বাংলাদেশ পেট্রোরিয়াম কর্পোরেশন) সাথে বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে দাবি দাওয়া আদায়ের বিষয়ে যদি ফলপ্রসু সিদান্ত হয় তবে ধমৃঘট প্রত্যাহার হতে পারে। নতুবা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে শনিবার (৩০ নভেম্বর) খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় কর্মসূচি সফলের আহবান জানানো হয়।
এফএম নিউজ…আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী
বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগঃ 0183 11-06 108