প্রতিবেদকঃ মোঃ জাহিদ হাসান, কুড়িগ্রাম
পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ডোবায় রেখে বাসায় ফিরে পোলাও মাংস রান্না করে উৎসব করেছেন রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী এলাকার এক কিশোর স্বামী। নিহত স্ত্রীর নাম বন্যা আর ওই কিশোরের নাম রুবেল।
ঢাকার মিরপুর রূপনগর ঝিলপাড়ে জসিমের মেয়ে বন্যা ও রাশেদুল ইসলাম চান্দুর বখাটে ছেলে রুবেল বসবাস করত পরিবারের সাথেই। ২০১৫ সালে তাদের মাঝে প্রেম শুরু হয় এবং তাদের পরিবার ও গ্রামবাসী জানাজানি হওয়ার কারণে ২০১৭ সালে বন্যার পরিবার বাসা পরিবর্তন করে কিন্তু কিছু দিন পর সেখানেও যায় রুবেলের পরিবার এবং তাদেরকে হুমকি দেয় বিয়ে দেয়ার জন্য। যেহেতু তারা প্রেম করে সেই কারণে দুই পরিবার রাজিও হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর রুবেলের পরিবার যৌতুক দাবি করে ২টা অটোরিক্সা। বন্যার পরিবার দিতে না পারায় তাকে অত্যাচার করে। তাই রুবেল ও বন্যা আলাদা হয়ে যায় পরিবারের সম্মতিতে।
রুবেল ও বন্যা গোপনে দেখা করত আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ১৫ অক্টোবর রাতে তরিকুলের (রুবেলের বন্ধু) মাধ্যমে বন্যাকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ডাকে রুবেল। আর সেখানেই তাকে খেলার ছলে গাছের সাথে বাঁধে। তখনো বন্যা জানত না তার সাথে কি হতে যাচ্ছে। তারপর শ্বাসরুদ্ধ করে বন্যাকে মেরে ফেলে রুবেল ও তার বন্ধু এবং তার লাশ বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেয়।এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়ছিল হাবিব সুপারের বাড়িতে রুবেলের পরিবারের সবাই মিলে। তাকে হত্যার পর রুবেলের পরিবার আনন্দ আয়োজন ও খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে। প্রায় আটচল্লিশ ঘন্টা পর ঘটনা তরিকুরে কথায় সন্দেহ করে এলাকাবাসী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সব তথ্য বের করে। পরে এলাকাবাসী রুবেল ও পরিবারের সবাইকে এবং তারিকুলসহ ৬জনকে থানার হাতে সর্পোদ করে এবং পুলিশ তাদের আটক করে এবং রুবেল ও তরিকুল ছাড়া ৪ জনকে পরে ছেড়ে দেয় বাদির সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়াই। বন্যা ও এলাকাবাসীর মতে রুবেলের পরিবার এই হত্যাকান্ডে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে কেন ছেড়ে দেয়া হয়? এটি এখন একটি রহস্য। বন্যার পরিবার জানিয়েছেন তারা এখন নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছেন।স্থানীয়রা জানান, কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অনেক দিন থেকে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে রুবেল ও তার বাহিনী। তাদের কারণে এলাকার লোকজনও অতিষ্ঠ ছিল।
এফএম নিউজ…আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী
বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগঃ 0183 11-06 108