প্রতিবেদকঃ বি-বাড়িয়া প্রতিনিধি, সানজিতা আক্তার সাথী (প্রশিক্ষণার্থী)কুয়াশায় ডাকা শীতের ভোর।একদিকে সূযোদয় অন্যদিকে বিলমুখী মানুষের ঢল। সকলেই মাছ ধরার সরঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে বাউত উৎসব পালন করতে। দলবেঁধে সবার গন্তব্য “চলনবিল”। চলনবিল এলাকাটি বিস্তৃত পাবনার ভাঙুরা উপজেলার রুহুলবিলের মানুষের দলবেধে মাছ ধরার উৎসব এর নাম “বাউত উৎসব “।প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি সপ্তাহে দু’দিন শনি ও মঙগলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই উৎসব। স্থানীয় শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধসহ নানান বয়সের মানুষ অংশ নেয় এই উৎসবে যোগ দেয় আশেপাশের জেলার সৌখিন মাছ চাষিরা। ধরা পড়ে রুই, কাতলা, কৈসহ দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ। তবে অনেকেই ফিরেছেন খালি হাতে। দিনদিন কমছে চলনবিলের পরিধি।প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে মাছের অভয়-আশ্রম। যা ভাবাচ্ছে মৎস কর্মকর্তাদের। সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চান স্থানীয়রাও। জেলা মৎস কমকতা বলেন,”এই সাধু পানিতে প্রায় ১২০ প্রজাতির ছোট মাছ ছিল যার বেশিরভাগই হুমকির সম্মুখে এবং অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত প্রায়। এই ক্ষেত্রে যথাযথ সময়ে মৎস আইন প্রয়োগ করে কিছু বিলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে দেশি মাছ বংশ বিস্তরের পদক্ষেপ নিতে পারি”।তাই বলা যায়, সরকারি উদ্যোগে খাল-বিল, জলাশয় খনন ও মাছের প্রাকৃতিক অভয়-আশ্রম গড়ে দিলে প্রাচীনতম এই উৎসবটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগঃ 0183 11-06 108