প্রতিবেদকঃ শেখ হেদায়েতুল্লাহ, খুলনা
নতুন ঘোষিত মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, রাষ্ট্রীয় মালিকানার মিলকে বিরাষ্ট্রীয়কলন বন্ধ, সময়মত পাট কিনে মিলের উৎপাদন সচল রাখা, অবসরে যাওয়া শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া ডরিশোদসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে রাষ্টাায়াত্ব পাটকল শ্রমিকরা আমরণ অনশন পালন করছেন। গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার শিফট এ কাজে যোগ না দিয়ে আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল শ্রমিক সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। খুলনা- যশোরের রাষ্ট্রায়াত্ব ৯টি জুটমিলের শ্রমিকদের আমরণ অনশন কর্মসূচির কারনে মিলগুলোতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা। বুধবার সকালে অসুস্থ ৪ পাটকল শ্রমিককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের হিরণ ও খায়ের এবং স্টার জুটমিলের বাবুল ও ক্রিসেন্ট জুটমিলের সুলতান।
আমরণ অনশন কর্মসূচিতে শ্রমিক নেতারা বলেন, ২০১৫ সালে ঘোষণা দিয়েও মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছেন শ্রমিকরা। মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, ১১ সপ্তাহের বকেয়া বেতন পরিশোধ, পিএফ’র টাকা প্রদান, বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ ১১ দফা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি। যা সরকার মানছেন না। তদের দাবি মেনে নিতে বার বার তাগাদা দেয়ার পাশাপাশি শান্তিপূর্নভাবে আন্দোলন করছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কোন আমল দিচ্ছে না। এ জন্য বাধ্য হয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আমরণ অনশন ধর্মঘটে মিলের সকল শ্রমিক স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে। খুলনার মিলগুলো হচ্ছে, ক্রিসেন্ট জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল, ইস্টার্ন জুট মিল, স্টার জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, আলিম জুট মিল এবং যশোরের জেজে আই ( যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রি) ও কার্পেটিং জুট মিল।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক নেতা মো: মুরাদ হোসেন বলেন, সরকার আমাদেরকে পরনো বেতন কাঠামোতে মজুরী পরিশোধ করছে। অথচ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা- কর্মচারীরা নতুন মজুরী কমিশন অনুযাী বেতন ভাতা পাচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছে পাটকল শ্রমিকেরা। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন জানান, ১১ দফা দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। কিন্তু দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে বিজেএমসি কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, বকেয়া পাওনার সামান্য অর্থ মি কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেছেন পুরনো মজুরী কমিশন অনুযায়ী। কিন্তু আমাদেরকে ২০১৫ সালে ঘোষিত মজুরী কমিশন অনুয়ায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া পাটকল শ্রমিকদের ১১ দফা ন্যায্যদাবি মেনে নিতে হবে।এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগঃ 0183 11-06 108