বাঙালী জাতিই তো এখন স্লো পয়জনে আক্রান্ত!

0
734

প্রতিবেদকঃ বিপা চৌধুরী, বিনোদন প্রতিনিধি

দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি! দেশ ও জাতির বর্তমান পরিস্থিতি, এই যে বেচে থাকা প্রতিনিয়ত এটাও একটা যুদ্ধ! যুদ্ধ কখনোও শেষ হয় না! জীবন সংগ্রাম, অবিরত বেঁচে থাকাও এক যুদ্ধ। বর্তমান সময়ে যা ঘটছে যা দেখছি, শুনছি তা কিভাবে মেনে নেয়া যায় তার হিসেব মেলাতে পারছি না! বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবসে মাইক দিয়ে খুব উচ্চ শব্দযোগে হিন্দি গান বাজানো হচ্ছে, মাঝে মাঝে ওয়েষ্টার্ন গান ও বাদ্য বাজানো হচ্ছে!! এমন কি স্কুল কলেজেও একি অবস্থা; অভিভাবক এবং উনাদের সন্তানদের মনোরঞ্জন করার জন্য বাজানো হচ্ছে হিন্দি গান; হাহ্! এগুলো কেন করা হচ্ছে? পরিপুর্ন অজ্ঞতার কারনে! যা খুবই দুঃখজনক!! অথচ স্বাধীনতার প্রকৃত রুপ ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না, ভবিষ্যত প্রজন্ম কে কি শেখানো হচ্ছে? এই ভবিষ্যত প্রজন্ম তো একটা সময় পঙ্গুত্ব বরন করবে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কেটে গেছে ৪৮টি বছর। এই ৪৮টি বছর আমরা মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকরী শহীদদের কতটুকু সম্মান দেখাতে পেরেছি। ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতের দাম কি আমরা দিতে পেরেছি। না পারিনি। যদি পারতাম তাহলে বিজয় দিবস , শহীদ দিবস স্বাধনিতা দিবসে দেশের গান ভুলে গিয়ে বিদেশী গান গেয়ে উল্লাস করতে পারতাম না। সোমবার সারাদিনে পেশাগত কারণে ঘুরে বেড়িয়ে যা দেখলাম ট্রাকভরা যুবকসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ উল্লাস করছে; নাচানাচি করছে। আর সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে বাজাচ্ছে হিন্দী গান। তাহলে আমাদের কবি নজরুল, জসীম উদ্দীনের গান রবীন্দ্রনাথের দেশের গান কেন। কেন আমরা তার চর্চা করছে না। একটা অবস্থা যে, বিজয় দিবসেও সারারাত ধরে সারাদিন ধরে বেশির ভাগ সময়ই হিন্দি বাজানো হচ্ছে! তাও আবার হিন্দি আইটেম সং এর গান!!! আহ্ এই জাতির কি হবে! এখানে কেউ বলতে পারেন; আইটেম সং যে বাজায় সেটা আপনি কিভাবে বুঝলেন? জনৈক মশাই, না জানলে প্রতিহত করবো কিভাবে?!

যদি বিষ না চেনেন তাহলে বিপদ! আর সমগ্র বাঙালী জাতিই তো এখন স্লো পয়জন (slow poison) আক্রান্ত!! যা এখন মারাত্মক ব্যাধিতে আকার ধারন করছে!!! যে সব অনুষ্ঠানে এই অপসংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে তা দিবস উদযাপন এর জন্য না, নেতাকে খুশি করা আর নিজেদের উল্লাস প্রকাশ করার জন্য! বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে যে সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয় সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় সে ঠিক আছে, খুবভালো! এখানে একটা প্রশ্ন; কিভাবে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব বজায় রাখবে এই জাতি!? এই জন্যই কি দেশ স্বাধীন করা হয়েছিলো!! ভালো মানুষের কদর শেষ করে ফেলা হচ্ছে! নাহলে কি মুক্তিযোদ্ধারা এভাবে অবহেলিত হয়! আমি একটা স্বপ্ন দেখি সব সময় যে বাংলাদেশ একদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ট রাষ্ট্র হবে। এই দেশের নাগরিক হবে সাবলম্বি শক্ত দেশ প্রেমিক! স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ধরে রাখার জন্য লড়াই করে বাঁচবে, নিজের দাবী প্রতিষ্ঠা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে….!

আমাদের শহীদদের নিয়ে গান টা খুব সুন্দর ছিলো, ” এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা, আমরা তোমাদের ভূলবো না।” কত্থেকে সারা বছর তো ভূলেই থাকে। শুধু বিজয়, স্বাধীনতা দিবস আর ২১ শে ফেব্রুয়ারীর দিন ঢাক ঢোল পিটিয়ে মনে করা হয়; যা স্রেফ লোক দেখানো!! কোন সম্মান বোধের দিক থেকে নয়।

এফএম নিউজ…

আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…

বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগঃ 0183 11-06 108