প্রতিবেদকঃ রোদেলা হক ভূঁইয়া, সাহিত্য ও ফিচার বিভাগ
যুগ যুগ ধরে মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে যাচ্ছে যে আমরা স্বপ্ন দেখি কেন? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর আজও দিতে পারেনি কোন বিজ্ঞানী। এখানেই হয়ত সৃষ্টি ও স্রষ্টার মধ্যে পার্থক্য। এত জ্ঞান অর্জনের পরও স্রষ্টার সৃষ্টি রহস্য আজও আমাদের কাছে অজানা। প্রাচীনকালে মানুষ স্বপ্নকে জাগতিক ও মহাজাগতিক জগতের মধ্যকার যোগাযোগ মাধ্যম বলে মনে করত। প্রাচীন গ্রিক এবং রোমের অধিবাসীরা স্বপ্নকে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত ভবিষ্যদ্বাণী বলে বিশ্বাস করত। কিন্তু এখন আমরা জানি যে, মানবের অবচেতন মনের চিন্তা চেতনার যে চিত্র ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের মস্তিষ্কে ভেসে ওঠে সেটাই স্বপ্ন।
উনিশ শতকে সিগমুন্ড ফ্রয়েড স্বপ্নের প্রতিকী ব্যাখ্যা দান করেন। অধিকাংশের মতে আমরা যা ভাবি, কল্পনা করি সেটাই আমরা স্বপ্নে দেখতে পাই। স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। শারীরবৃত্তীয় তত্ত্বের আলোকে এবং মনোবিজ্ঞানের আলোকে। নিউরোলজি তত্ত্ব অনুযায়ী স্বপ্ন অর্থহীন, নিছক ভ্রম ছাড়া কিছুই নয়। সত্যিই কি তাই? যদি তাই হয় তাহলে এমনটা ও কেন হয়, যেটা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি সেটাও আমরা মাঝে মাঝে স্বপ্নে করতে দেখি।
সারাদিন প্রচন্ড আনন্দ উৎসবে মেতে থাকা সত্ত্বেও মাঝরাতে কোন স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠি? মনোবিজ্ঞানে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মানবের আধ্যাত্মিক অস্তিত্বের উপর জোর দেয় বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞান আমাদের অন্তর্চক্ষুকে খানিকটা খুলে দিলেও সকল রহস্যের সমাধান একমাত্র সৃষ্টিকর্তার কাছেই রয়েছে।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগঃ 018-311 06 108
Awesome post! Keep up the great work! 🙂
tnx
Comments are closed.