নির্বাচনের হাওয়া চট্টগ্রামেঃ ক্লিন ও গ্রীন সিটির মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

0
1104

প্রতিবেদকঃ আছিফ রহমান শাহীন, চট্রগ্রাম

ঢাকার নির্বাচন এর আমেজ কাটতে না কাটতে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে শোরগোল। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন শপথ নেন ২০১৫ সালের ৬ মে। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতায় মেয়রের দায়িত্ব নেন ওই বছরের ২৬ জুলাই। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনে ২০২০ সালের ৫ আগস্টের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গতবার চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি সম্বলিত ৩৬ দফা নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। যেমন কথা তেমন কাজ।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল জনরায়ে রেকর্ড পরিমান ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলম। তিনি পেয়েছিলেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৮৩৭ ভোট। দায়িত্ব গ্রহণের পর আ জ ম নাছির উদ্দীন মাসে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সম্মানী পেলেও সেই টাকা দান করেন অটিজম স্কুল, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীদের জন্য। তিনি সিটি করপোরেশনের গাড়ি ব্যবহার করেন না। জ্বালানি খরচও বহন করেন নিজের পকেট থেকে। ক্লিন ও গ্রীন সিটি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো নতুন রঙে সেজেছে। বিলবোর্ডমুক্ত হয়েছে পুরো শহর। হকারদের শৃঙ্খলায় আনতে অনেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সেবাধর্মী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মেয়র। রেকর্ডসংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে এনেছেন আমূল পরিবর্তন। সেদিন বেশী দুরের নয় ২০১৫ সালের আগে নগরের বিভিন্ন স্থানে উন্মুক্ত ডাস্টবিন ছিল।

আ জ ম নাছির দায়িত্ব গ্রহণের পর ডোর টু ডোর প্রকল্প গ্রহণ করে নগরবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন ময়লা রাখার ৯ লাখ প্লাস্টিক বিন। এ উদ্যোগের ফলে এখন গৃহস্থালি বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে সহজে। দিনে দিনে আ জ ম নাছির উদ্দীন একজন নগরপিতা থেকে একজন সেবকে পরিণত হন। একজন ক্লিন সিটি গ্রিন সিটির জনকও তিনি। আ জ ম নাছির উদ্দীনের রাজনিতির হাতে খড়ি শৈশবে। স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে জড়িত হন তিনি।তিনি ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও নগর ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮০ ও ১৯৮২ সালে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন দুই বার।সর্বশেষ ২০১৩ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। একজন আ জ ম নাছির শুধুই একজন রাজনৈতিক নন।

রাজনীতির বাইরে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক ফোরামের সভাপতি। আপাদমস্তক তিনি একজন সংগটক। সারাবিশ্বে অসংখ্য কর্মীর সৃষ্টিকারী এই নেতা।সারাজীবন কর্মীর সুখে দুখ্য কাছ থেকে দেখেছেন।বর্তমান সরকারের একের অধিক মন্ত্রী আর এমপি আ জ ম নাছির উদ্দীনের সরাসরি কর্মী। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংকটময় সময়ে আওয়ামীলীগকে বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার বিশ্বত ভ্যানগাড ছিলেন তিনি। এক এগারোর সময় নিজ জীবনের আশংকাজনক হলেও দলের প্রতি শতভাগ অনুগত ছিলেন।আজকের দিনের অনেক বড় বড় নেতারাই সেদিন নিজেকে গুটিয়ে ছিলেন।

আর একজন আ জ ম নাছির উদ্দীন ছিলেন রাজপথের সারথি হয়ে। প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই একজন নগরপিতা হিসাবে পূরণ করতে পেরেছেন বলে দাবি নগর বাসীর। তাইতো আগামী দিনেও আ জ ম নাছির উদ্দীন আওয়ামীলীগের প্রার্থী হবেন বলে আশাবাদী নগরবাসী। সবাই আবারো আ জ ম নাছির উদ্দীনকে একজন নগর সেবক হিসেবে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছে।

এফএম নিউজ…

আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…

বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগঃ 018-311 06 108