বন্ডে ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

0
395

প্রতিবেদকঃ শামীমা আফরোজ, অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগ

বন্ডে ওয়ারহাউজ সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য দিয়েছে ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর। অভিযোগ লাইসেন্স গাড়ির ধারীদের উপর কাস্টমস ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কার্যকর নজরদারি নেই। ফলে চোরাচালানে জড়িত ৬৭মাফিয়া কাছে জিম্মি দেশীয় কাপড় এক্সেসাইজ প্লাস্টিক শিল্প খাত সমূহ। ব্যবসার আড়ালে বন্ডের অনিয়ম বন্ধে জরুরীভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের তদন্ত দাবি করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

অনুসন্ধান করে জানা গেছে রাজধানীর ইসলামপুর নয়াবাজারে সিন্ডিকেটের মাফিয়া গডফাদাররা প্রতিবছর সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত করছে। হুমকির মুখে পড়ছে প্লাস্টিক দেশীয় শিল্পীরা এছাড়াও টেক্সটাইল ব্যবসায়ীরা মাফিয়াদের কারণে। সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা বাবুল মার্কেটের সানফ্লাওয়ার ট্রেডিং এর মালিক আবুল হোসেন ও আবুল নুরজাহান মার্কেট ইন্টারন্যাশনাল মালিক আব্দুর রহিম ফাল্গুনী ট্রেডার্সের মালিক আবুল কালাম ইন্টারন্যাশনাল অনিল ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল মতিন জুয়েল আলম আলমগীর হক। বিনিময় পেপারের মালিক দুলাল রহমত এন্টারপ্রাইজের মালিক রহমান চৌধুরী মার্কেটের সুজন মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন সোনামিয়া মার্কেটের মারসিটিস পেপারের মালিক অন্যান্য মাফিয়ারা এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের অপকর্ম থামাতে পারছে না কেউ।

অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে যে, দফায় দফায় অভিযানে তাদের গুদাম ও গাড়িবহর করিয়া শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি তাদের সংকট উত্তরণে জুতো সেন্ট্রাল মনডে ওয়্যারহাউজ ব্যবস্থা চালুর দাবি। ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি বা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিবছর ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী ও শক্তিশালী হওয়ার কারণে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের প্রত্যাশিত লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে। বিপিএম এর তথ্য মতে দেশের ৬০০০ লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান মধ্যে আড়াই হাজার কালো তালিকাভুক্ত তাদের মধ্যে চার শতাধিক প্রতিষ্ঠান পণ্য আমদানি করা চোরাচালান করছে কাগজ শিল্পে ৭০০০০ হয়েছে ১৩০টি কাগজ ১৫ লাখ টন উৎপাদন ক্ষমতা থাকলে মাত্র ৩থেকে ৪ লক্ষ টন কাগজ বাজারে সরবরাহ করা যাচ্ছে বাকি উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

পেপার কাটিং, পেপার রিবন, কার্টুন মার্কার, পেপার সার্টিন পেপার স্টিকার ট্যাগ সিকিউরিটি ইত্যাদি কাগজ জাতীয় পণ্য আমদানি করছে। বিএনপি জানিয়েছে দেশের বার্ষিক অপব্যবহারের কারণে প্রতিবছর ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি বা সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হলে দেশ ও মানুষ উপকৃত হতো। এ ক্ষেত্রে কাস্টমস সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হলে মারাত্মক ক্ষতির স্বীকার হবে দেশের অপব্যবহারের দেশীয় শিল্প দিয়েছে বানিয়ে দিয়েছে দেশীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য কিন্তু পরবর্তীতে বন্ডেরঅপব্যবহারকারী অর্থনীতির ক্ষতি করছে। এখন সরকার বিষয়টি বুঝতে না পারলে ভবিষ্যতে সংকটে পড়বে শিল্প খাত।

জানা গেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের একটি টেন্ডার হয় গত বছর ২৪ এপ্রিল। এতে বড় সুবিধা চোরাচালান করে টেন্ডারে অংশ নেয় মুসলিম গার্মেন্টস আর এফ ট্রেনিং লিমিটেডের মার্কেট এন্ড প্রিন্টিং অ্যাকশন ম্যানেজমেন্ট,সিম বাংলাদেশ এবং মার্কেট এ্যাডস। অনুসন্ধানে জানা গেছে মূলত আমদানি প্রাপ্ত নির্ধারিত আদেশের দুর্বলতা কাজেলাগে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কাঁচামাল আমদানি করার পর তা বিক্রি করে দিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ওনাম চোরাকারবারীরা। ২০১৫ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে এজাতীয় ৪৭৭ প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিল্প সমিতি ও বণিক সমিতি ফেডারেশন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সভাপতি আশরাফ বলেন, দেশীয় শিল্প খাত আমাদের শক্তি। তাই এই শক্তিকে বাঁচাতে দ্রুত সেন্ট্রাল বন্ড চালু করা হবে। এ প্রসঙ্গে টেক্সটাইলস মিলস অ্যাসোসিয়েশন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বাংলাদেশ এখন চোরাচালানো বেপরোয়া। হাতের মাফিয়ারা আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে তিনি আরো বলেন অনেক শিল্পখাত রয়েছে যেগুলো কার্যত বন্ধ কিন্তু বিভিন্ন পন্থায় যেগুলো কার্যত বন্ধ রেখে সুবিধা ভোগ করছে অন্যরা। ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট সূত্র জানানো যাচ্ছে যে ৪৭৯ টি। ৬৫৬৫ প্রতিষ্ঠানের নামে বন্ড লাইসেন্স থাকলেও অনিয়মের কারণে ১৭৫৭ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। আবার কারখানা বন্ধ থাকার পরও মন লাইসেন্স আছে ২৪৩৮ পোশাকও প্যাকেজিং কারখানার।

এফএম নিউজ…

আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…

বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগঃ 018-311 06 108