প্রতিবেদকঃ বিপা চৌধুরি, ইসলাম ও র্ধম বিভাগ
মিরপুর শাহ আলী মাজার। এটা অবস্থিত মিরপুর ১ নাম্বারে। সম্প্রতি, মিরপুরের এই মাজারে গিয়ে চোখে পড়ল কিছু অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় হযরত শাহ আলী রহমতুল্লাহে ছিলেন হযরত আলী রাদি আল্লাহর বংশধর। যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫৭৭ সালে। উপমহাদেশে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে অনেক অবদান রেখেছেন হযরত শাহ আলী।
কিন্তু বর্তমানে এই মহান ব্যক্তির মাজার সমাধি নিয়ে এখন শুরু হয়েছে ব্যাপক ভন্ডামি। মূর্তি পূজা বা ছবি পূজার মতো ঘৃণিত ইসলামবিরোধী কাজ প্রতিনিয়তই এখানে চলছে। একই ভাবে চলছে মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে দেহব্যবসা পর্যন্ত। রাতের আধারে যা আরো জমজমাট হয়ে ওঠে। রাতের বেলা মিরপুরের শাহ আলী মাজার দেখলে চমকে যাবে অনেকেই। রাতের বেলা এই মাজারে যেন শুরু হয় ইসলাম অবমাননার প্রতিযোগিতা। প্রতি বৃহস্পতিবার মিরপুর শাহ আলী মাজার সেজে ওঠে এক রঙ্গমঞ্চে। গাজা সেবন আর গান বাজনা ছাড়া যেনো এদের চলেই না। শুধু তাই নয়, এখানে সকলেই গভীর মনোযোগ দিয়ে করে যাচ্ছে ছবি পূজা। যা কিনা ঘোরতর ইসলামবিরোধী। এছাড়াও, মাটির মূর্তি, আর পুতুল ও বাদ পড়ে না এদের পুজোর হাত থেকে। বলতে পারেন ইসলাম কোন দিক থেকে এগুলো কে সমর্থন করে? ইসলাম ধর্মে এগুলো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং অনৈতিক কাজ। আর এই নিষিদ্ধ এবং অনৈতিক কাজ গুলোই ধর্মের নামে এখন চলছে মিরপুর শাহ্ আলীর এই মাজারে।
অনেকে আবার আল্লাহর নাম নিয়ে লাফালাফি করছে। এসব এই মাজারের নিয়মিত চিত্র। মাজারে আসবেন আর জিকির শুনবেন না তা কি ভাবে হয়? তবে এই জিকির শুনলে আপনি অবাক হবেন, কারণ রাত যত বাড়তে থাকে তোতই এখানে জমে ওঠে গানের আসর। এই গানই হচ্ছে এখানকার অন্যরকম জিকির। গান মানেই নাচ, সাথে থাকে গাজা। যাদের আসর যত জমজমাট তাদের ব্যবসা ততো চাঙ্গা। তাই, শিশু, নারী কেউ বাদ পড়ে না কাজের তালিকা থেকে। শিশুদের কেউ ব্যবহার করা হচ্ছে এসব অবৈধ কাজে। পুরুষদের আসরে লোকজন কম হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই, ভাড়া করে আনা হয় নারীদের। তবে মাঝ বয়সি নারীদের থেকে তরুণীদের আসর বেশি চাঙ্গা। সুন্দরী হলে তো কথাই নেই, সেখানে উপচে পড়া ভিড়। তাই, ভাড়াটাও অন্য দের থেকে বেশি বটে। কে বলবে, এটা কোনো পরহেজগার ব্যক্তির সমাধি স্থান। যাত্রাপালার সাথে এর কি তফাৎ আছে? সবকিছু দেওয়ার মালিক আল্লাহ, তাই চাইকে হলেও তার কাছেই চাইতে হবে। কিন্তু এখানকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রার্থনা চাওয়া পাওয়া সব কিছুর হিসেব জেনো সেই শাহ আলির কাছে। জিনি কিনা প্রাই সাড়ে চারছো বছর আগেই ইহলোকের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। এটা শিরক।
মাজার থেকে বের হবার নিয়ম পিছন দিক ফিরলে আবার যদি পীর কে অবমাননা করা হয়! অথচ এদের সিজদা দেওয়ার সময় পূর্ব-পশ্চিমের ধার ধারে না। এসবের মাঝে কেউ বা ব্যস্ত সেলফি তুলতে। এভাবে অনেক মাজারে এই চলছে ধর্মের অবমাননা।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগঃ 018-311 06 108