করোনার কার্যকর ঔষধ আসছে, নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল

0
515

প্রতিবেদকঃ আছিফ রহমান শাহীন

স্বাস্থ্য চিকিৎসা বিভাগ

অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)- চেয়ারম্যান, লিভার বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় -সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

করোনা স্থবির করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ। কোভিড-১৯ আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশও। যদিও বাংলাদেশে সংক্রমণ এখনো কম, তবু বিপুল ঘনবসতির এই দেশে পরিস্থিতি যে কোনো সময় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাঁচজন এরই মধ্যে মারা গেছেন। সারা দেশ চলে গেছে লক ডাউনে।

এমন পরিস্থিতিতে ২৩ মার্চ এক অনলাইন গণমাধ্যম- কথা বলেছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এর সঙ্গে। যিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে দেশে বিদেশে অনেক গবেষণার সঙ্গেও যুক্ত। ডা. মামুন আশ্বস্ত করলেন, আতঙ্কিত না হতে। এর কার্যকর ঔষধ ও ভ্যাকসিন শিগগিরই চলে আসবে। আর এই ভাইরাস চার-পাঁচ মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আমাদের শরীরে গড়ে উঠবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

এই পরিস্থিতির শেষ কোথায় এবং একজন চিকিৎসক হিসেবে বাংলাদেশের মানুষকে আপনি কিভাবে আশ্বস্ত করবেন? ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল: এর শেষ কোথায় এটা এখন বোধ হয় কেউই বলতে পারবে না। আমিও বলতে পারবো না। তবে এটুকু বলতে পারি শেষটা অবশ্যই হবে। এটা এমন কোনো জিনিস না যে এটা দিয়ে মানবসভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে। সব মানুষ মারা পড়বে তাও না। কতগুলো বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর এ কথা বলা যায়। এগুলো হলো- ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। তিন মাসে না হোক ছয় মাসে ভ্যাকসিন চলে আসবে।

দ্বিতীয় বিষয় হলো- এই ভাইরাসে এতো মানুষ কেন অসুস্থ হচ্ছে বা মারা যাচ্ছে? কারণ এটি আমাদের জন্য নতুন একটি জীবাণু। এর বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল না। যখন আস্তে আস্তে অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়ে যাবে তখন আশেপাশের অনেক মানুষের মধ্যে একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সারা জীবন স্থায়ী হবে, নাকি কয়েক মাস বা কয়েক সপ্তাহ হবে সেটা আমরা জানি না। কারণ ভাইরাসের রূপটাই নতুন। কিন্তু একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অবশ্যই তৈরি হবে। যেমন- যখন সংক্রমিত হওয়ার কারণে দশ জন মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে তখন আশেপাশের আরো পাঁচ-সাত জন বা দশ জনের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ডেভেলপ করবে। এটাকে হার্ড ইমিউনিটি বলে।

একটা সময় আসবে যখন এই ভাইরাসটা আমাদের আশেপাশেই থাকবে কিন্তু হার্ড ইমিউনিটির কারণে বা ভ্যাকসিনের কারণে এটি নতুন করে আর সংক্রমিত করতে পারবে না। ফলে একটা পর্যায়ে এটি থামতে বাধ্য হবে। সেটা কবে হবে তা আমরা বলতে পারি না। যত তাড়াতাড়ি থামবে ততই মঙ্গল। তবে আমার মনে হয় আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে এটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আর মানুষকে আশ্বস্ত করার জায়গাটা হলো- সবাই কিন্তু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করবে না। ৮০ ভাগ মানুষের উপসর্গই থাকবে না।

যেমন ২২ মার্চ চীনে একটি দলিল প্রকাশিত হয়েছে যে, চীনে প্রতি তিনজন মানুষের মধ্যে একজন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল। অর্থাৎ ৪০ কোটির বেশি মানুষ সংক্রমিত ছিল। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কিছু সংখ্যক মানুষ মারা গেছে।

এফএম নিউজ

আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী

বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108