প্রতিবেদকঃ সানজিতা আক্তার সাথী
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিভাগ
নো টেস্ট নো পজেটিভ নীতির কারণে দেশের করোনা পরিস্থিতির সঠিক চিত্র ফুটে উঠছে না বাংলাদেশে।বিশেষজ্ঞদের মতে, নো টেস্ট এবং নো পজিটিভ নীতিমালার কারণেই জানা যাচ্ছে না করোনা রোগীর প্রকৃত সংখ্যা। আর ভিতরে ভিতরে সংক্রমণ চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যেতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো করোনার বাংলাদেশে প্রথম ঘোষণা দেয়া হয় ৮ই মার্চ। ১ থেকে শুরু এরপর দিনে ২ থেকে ৩ এরপর সর্বোচ্চ ৬ জন মারা যায়।
গত দুইদিন ধরে সনাক্ত রোগীর সংখ্যা ০।এ পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৩১ জনকে। হটলাইনে করোনা সংক্রান্ত ফোন এসেছে ৮২হাজারেরও বেশি। এর বিপরীতে মোট টেস্ট করা হয়েছে ১০৬২টি। পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪৮টি। অথচ বিশ্ব পরিস্থিতি পুরোই ভিন্ন।
জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে, এসব ক্ষেত্রে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সূচক প্রথমে ঊর্ধ্বমুখী এরপর সমতল এরপরে তা নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে। তবে বাংলাদেশে তা এমন কেন? প্রধানত বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ টেস্ট করার ফলেই এই সমস্যাটির সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ। সম্প্রতি WHO এর প্রধান খুব জোর দিচ্ছেন বেশি বেশি টেস্ট করতে। কারণ সংক্রমনের অংক অনুযায়ী প্রতি ৩ দিন থেকে ৭ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌনঃপুনিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও গত সাতদিনে প্রায় তিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগীর কোনো চিহ্নও পাওয়া যায়নি।
এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমকে দেওয়া দেশে মোট ৪৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হলেও ধারণা করা হচ্ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এর থেকে বেশি হয়েছে এবং গবেষকদের ধারণা এত দিনে প্রায় ১০০র বেশি করানো রোগী ধরা পড়ার কথা। মূলত বেশি বেশি টেস্ট না করায় এবং কিট থাকা অবস্থায়ও টেস্ট না করার গাফিলতিতে এই আক্রান্তের হার জনগণ জানতে পারছে না। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা হঠাৎই বাড়তে পারে করোনার ভয়াবহতা। সে ক্ষেত্রে লকডাউন চালিয়ে যাওয়া এবং বেশি বেশি রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশনে নিয়ে গেলে হয়তো অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশ করোনার ভয়াবহতা কম হতে পারে। লকডাউন অব্যাহত না থাকলে বাংলাদেশে করোনা রোগী খুব দ্রুত আকারে বাড়তে থাকবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108