গতরাতের ছবি, আজকে রাতে সে থাকবে কবরে-শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে বাবার স্ট্যাটাস

0
685

প্রতিবেদকঃ শামীমা আফরোজ

দূর্ঘটনা শোকসংবাদ বিভাগ

কিশোরগঞ্জ জেলায় মাহিন নামের ছোট্ট একটি ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে কাঁদছে কিশোরগঞ্জ জেলার নগুয়া গ্রাম। কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় শিশু মাহিনের মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে শোকের মাতম চলছে। সবার মুখে একই আলোচনা চঞ্চল-উচ্ছ্বাস-প্রাণবন্ত শিশুটি এই অবেলায় চলে গেলে!

সারা মহল্লা দাপিয়ে বেড়ানো শিশুটির অনুপস্থিততে নগুয়া এলাকা যেন নিথর-শান্ত হয়ে গেল। অনেকে আজও তাদের বাসায় গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। মাহিনের বাবা-মাকে শান্তনা দিচ্ছেন তারা। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে পাঁচতলা ছাদ থেকে নিচে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে আরাফাত ইসলাম মাহিন (১৩)। রোববার বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে শহরের নগুয়ার প্রথম মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

শহরের মেধাবী ছাত্রদের স্কুল হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল মাহিন। সে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর গ্রামে। সোমবার, বিকেলে পাঁচতলার ছাদে উঠে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে অসাবধানতাবশত মাহিন নিচে পড়ে যায়। এলাকার লোকজন তাকে দ্রুত কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, মাহিনের বাবা বর্তমানে টাঙ্গাইলে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চার-পাঁচ বছর ধরে নগুয়ায় একটি বাসার তিনতলায় বসবাস করেন। ছেলে মাহিনের মৃত্যুর ঘণ্টাখানেক পর সন্ধ্যায় জহিরুল ইসলাম একটি ফ্যামিলি ছবি দিয়ে ছোট্ট একটি স্ট্যাটাস দেন। বাবার মনের এই কষ্টগাঁথা আর আর্তনাদ ছুঁয়ে যায় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের হৃদয়ে। তাদের শোক আর সহমর্মিতায় ফেসবুকের পাতা আজ যেন এক শোকবই।

তিনি স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘গতরাতের ছবি, আজকে রাতে সে থাকবে কবরে। ছেলের লাশ বহন করার মত সৌভাগ্যবান বাবা আমি।’

অপর একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “ছাদে যাওয়ার পনের মিনিটের মধ্যে তুর সাথে কি হয়েছে তা আল্লাহ্‌ আর তুই জানিস বাবা, কিন্তু দুইজন ই ধরা ছোঁয়ার বাহিরে । পিছনের রেলিংও তোকে আটকাতে পারল না।”

এফএম নিউজ

আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী

বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108