হাওরে গিয়ে ডুব দেঃ ত্রাণের সুবিধা চাওয়ায় সুলতান মনসুরের উত্তর

0
523

প্রতিবেদকঃ শামীমা আফরোজ

রাজনীতি বিভাগ

করোনাভাইরাসের দাপটে সারা দেশের মতো মৌলভীবাজারেও বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ফলে চরম বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কর্মহীন এইসব মানুষের পাশে নেই জনপ্রতিনিধিরা। এই দুঃসময়ে জনগণের পাশে না থাকা জনপ্রতিনিধিদের একজন মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। তিনি কোথায় আছেন জানে না তার এলাকার লোকজন।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ একজন রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেছেন একসময়। বাংলাদেশের আলোচিত ছাত্র সংগঠন ডাকসু এর ভিপি ছিলেন তিনি। কিন্তু আজ জনগণের পাশে আছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী দল এবং অন্যান্য স্তরের মানুষ জন। কিন্তু শক্ত এসকল জননেতাদের খোঁজই নেই।

সুলতান মনসুরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা ওই ব্যক্তি মৌলভীবাজাররে কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রতাবী গ্রামের বাসিন্দা। তবে তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি ত্রাণের জন্য নেতাকে ফোন করেছিলেন। ওই ব্যক্তি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে ফোন দিলে সেই ফোনালাপটি ভাইরাল হয়ে যায়।

তিনি সাহায্য চাইলে তিনি এর উত্তরে বলেন, ‘তুমি গরিবনি?’ ফোনের ব্যক্তি বলেন, ‘জ্বি হয়, গরিব।’ সুলতান মনসুর বলেন, না পারলে ভূকশিমইল হাওরে গিয়ে ডুব দে।’ (কুলাউড়া-ভূকশিমইল সড়কের পাশে হাকালুকি হাওরের অবস্থান)।

মানুষদের বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করতে সরকার, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এগিয়ে এলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নেই জনগণের পাশে। দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের মতো কার্যক্রমে নেই অধিকাংশ এমপি। জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না, আমি ওই ছেলেকে চিনি না। আর আমিতো তার অথরিটি না’। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

এফএম নিউজ

আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী

বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108