প্রতিবেদকঃ আছিফ রহমান শাহীন
অনিয়ম ও অপরাধ বিভাগ
ছবিতে দুইজন মানুষের নিথর শরীরটা পড়ে আছে রাজপথে। কি বিভৎসতা ছবি দেখে তবু যদি বিবেক জাগ্রত হয় সবার। কিছুদিন আগে টাঙ্গাইলে এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনের স্টাইলে দেশের অনেক জায়গায় মানুষ আইন নিজ হাতে তুলে নিচ্ছে। আমিন কমিশনার সেই দিন রাস্তায় ফ্রী স্টাইলে লোকজনকে গনহারে পেটালেন। সেই ভিডিওটা ভাইরাল হলো। অনেকেই তার এই ন্যাক্কার জনক কাজকে খুব সাপোর্ট দিলেন এই মর্মে যে করোনায় লকডাউন না মেনে কেন রাস্তায় আসল এটাই উচিত শিক্ষা। অথচ সেটা ছিলো ভয়াবহ অন্যায়। সেই দিন তার বিচার হলে আজ দেশে তাকে কেউ ফলো করতো না।
যে কাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর, সেই কাজ পাবলিক করতে গেলে কি হয় তাই প্রমানিত হল। ফেসবুকে অনেকেই শেয়ার করছিলেন। একটি বিভৎস ঘটনার ছবি ঘটনাটি ঘটেছে সাভারে। রিক্সাযোগে তিনজন মানুষ যাচ্ছিলেন সাভারের আল-মুসলিম গার্মেন্টস-এ। ঠিক সে সময় গেন্ডা স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা এক নেতার কিছু পোষা গুন্ডা লাঠি নিয়ে রিকশাটিকে তাড়া করে। রিকশাওয়ালা ভয়ে অতর্কিতভাবে ঘুরতে গিয়ে একটি কাভার্ডভ্যানের সাথে ধাক্কা খায়। ধাক্কা খাওয়ার সাথে সাথে মরিয়ম (৩৫) নামের একজন মহিলা ছিটকে পরে কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
জানাগেছে, ঐ মহিলার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তার মাথা ও হাতের কিছু অংশ পিষ্ট হয়ে মাংস ছিটকে গেছে রাস্তায়। তার সাথে থাকা একটি শিশুর দেহ পড়ে আছে পাশেই। বিক্ষিপ্ত মাংস দেখেই বুঝা যায় তাদের উপর দিয়ে কি বয়ে গেছে। কতই না হৃদয় বিদারক এমন একটি ঘটনার জন্ম দিল সেই লাঠিয়াল বাহিনী। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে অধিকার দিয়েছিলো তাদের মানুষের উপর লাঠি চালানোর? তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির কাজ কী? কেউ কি পারবে ফিরিয়ে দিতে এই প্রাণগুলো? কে ব্যবস্থা নিবে এদের বিরুদ্ধে? এসব গরীব মানুষের হয়ে কে দাড়াবে? প্রশ্নই থেকে গেল বিবেকের কাছে।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108