প্রতিবেদকঃ শামীমা আফরোজ
যশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোরের ২৫০শয্যা হাসপাতালের আইসল্যুসনে থাকা এক হাজতি পলাতক। পলাতক হাজতির নাম সুজন। ওয়ার্ডের অন্য রোগীরা জানান, সুজন পালানোর আগে ওয়ার্ডের জানালার সামনে দুজন লোকের সাথে কথা বলছিলো। এর কিছু সময় পর সুজন পালিয়ে যায়। সুজনকে পালিয়ে যেতে দেখে হাসপাতালের দুজন স্টাফ চিৎকার দেয়ার পর ওয়ার্ডের সামনে কর্তব্যরত করারক্ষি ও পুলিশ খোঁজা খুজি শুরু করে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খাঁন জানান, ১০ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার হাজতি সুজন তাকে জানায় তার শরীরে জ্বর অনুভূত হচ্ছে। সে অসুস্থ বোধ করছিলো। তার বোন করোনায় আক্রান্ত। তারও করোনা হতে পারে। এরপর তাকে ওই দিন সন্ধ্যা ৭ টা ২৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় কারগার থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইস্যুলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানো ছিলো। ওয়ার্ডের সামনে ৪ জন করারক্ষী ও দুজন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিলো।
এরই মধ্যে ১২ এপ্রিল রোববার রাত সাড়ে ৯ টায় সুজন হাসপাতালের ওয়ার্ডের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায়। যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক তাসমিম শেখ জানান, সুজন ওরফে শাকিলকে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ইয়াসমিন চুমকি অপহরন মামলায় ১০ এপ্রিল সকালে শহরের দড়াটানা থেকে আটক করা হয়। গত ৪ এপ্রিল সকালে বাড়ির দক্ষিন পাশের ইটের সলিংয়ের রাস্তা থেকে সানজিদাকে ফুঁসলিযে অপহরন করে মোটরসাইকেলে নিয়ে যায় সুজন। ওই সময় সানজিদা সবজি খেতে পানি দিতে যাচ্ছিল।
এ ঘটনায় সানজিদার পিতা শহরের পুরাতন কসবা আজিজ সিটির বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় নারী ওশিশু নির্যাতন দমন আইনে সুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা নং ২৪। তারিখঃ ১০.০৪.২০। মামলার তদন্ত কর্মকার্তা এস আই সুকুমার কুন্ডু জানান, ১০ এপ্রিল সকালে সুজনকে নারী ও শিশু নির্যতন মামলায় শহরের দড়াটানা থেকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে সুজন মনিরামপুরে বিয়ে করে। ওই স্ত্রীকে তিনি ডিভোর্স দেন। সেখানে তার একটি ৪ বছরের সন্তান রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, কর্তব্যরতদের বিরুদ্ধে বিভগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108