প্রতিবেদকঃ এইচ এম রফিকুল ইসলাম (ভিপি কামাল)
শ্রীমঙ্গল থানা প্রতিনিধি
কারণে-অকারণে শহরের রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ছে মানুষ। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ছোট, বড় বাজারগুলোতেও মানুষের ঢল নেমে পড়ছে। এতে করে ঝুঁকি বাড়ছে কমিউনিটি ট্রান্সামিশনের। এদিকে, গত তিন ধরে করোনা আক্রান্ত জেলাগুলো থেকে মানুষ আসতেছে শ্রীমঙ্গলে। তারা কেউ উঠছেন নিজের বাড়িতে কেউবা আত্মীয়ের বাড়িতে।
দোকান খোলা রাখা, রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়া, অযথা ঘোরাফেরা করার অপরাধে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হচ্ছে। তবে কিছুতেই কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সারা শহড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে রিক্সা, গাড়ি, মোটরসাইকেল, টমটম। লুকিয়ে লুকিয়ে খোলা রাখা হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও চায়ের দোকান। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না এসব গাড়িতে বহন করা যাত্রীদের।
একই সাথে শহড়তলীর কিছু চায়ের দোকানে সামাজিক দূরত্ব না মেনে ভিড় করছে মানুষ। একই চিত্র শহরের কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে। জানা যায়, গত তিন ধরে উপজেলার রাধানগড় গ্রামে ৩ জন, পূর্বাশা আবাসিক এলাকায় ১ জন, লালবাগ এলাকায় ৩ জন, ভূনবীরের ইসলামপাড়া গ্রামে ৮ জন, রাজপাড়া গ্রামে ২ জন, সিন্দুরখান রোড বনবাড়ি এলাকায় ১ জন, সিন্দুরখান ষারেরগজ গ্রামে ৫ জন, কালিঘাট রোড বাশবাড়ি হোটেলের পাশে ১ জন, শহরতলীর মুসলিমবাগ ১ জন, ডলুছড়ায় ১ জন ও একটি চা বাগানে ১ জন ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও সিলেট থেকে নতুন লোক প্রস্থান করেছেন।
এদিকে, অন্য জেলার মানুষ যাতে এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় যুবকরা নিজ উদ্যোগে গলির মুখে বাঁশ বেঁধে রেখেছেন। এ বিষয়ে ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান, রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ১৪ জনের তালিকা তার কাছে আছে। এদের মধ্যে চার জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন,‘ প্রশাসনের প্রধান কাজই ছিল শ্রীমঙ্গলের প্রবেশ পথ সিল করে দেয়া। এটা কেন এখনও করা হচ্ছে না এটাই আমার বোধগম্য নয়। আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে ঘরবন্দি হয়ে আছি। কিন্তু অন্য জেলার মানুষ যদি আমাদের এলাকায় আসতে থাকে তবে আমরা ঘরে বন্দী থেকেও তো নিরাপদ মনে করছি না।’ তিনি আরও বলেন ‘যেহেতু মানুষকে আর বুঝিয়ে ঘরে রাখা যাচ্ছে না তাই উপজেলা প্রশসনকে কঠোর হতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মানুষকে ঘরে রাখতে দিন রাত কষ্ট করে যাচ্ছি। কিন্তু মানুষ কিছুতেই ঘরে থাকতে চায় না, তারা নিজের ভাল নিজে বুঝতে পারছে না। এই পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলার সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে গেছে। আমরা যেমন আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি, ঠিক একই ভাবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108