করোনার গ্রাসে পহেলা বৈশাখঃ মঙ্গলশোভা যাত্রা কিংবা রমনার বটমূলে কেউ যায়নি

0
363

প্রতিবেদকঃ শামীমা আফরোজ

সংস্কৃতি ও অনুষ্ঠান বিভাগ

আজ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ পহেলা বৈশাখ। বাঙালির প্রাণের উৎসব। হলোনা পান্তা খাওয়া আর রমনার বটমূলে গান গাওয়া। প্রতিবছর এই দিনটিকে খুবই আনন্দে উচ্ছাসে সবাই পালন করা হতো। কিন্তু এবছর আর হলো না। কারন এবছর করোনার প্রাণঘাতী ভাইরাস সারাবিশ্বে রাজত্ব করছে। বাঙালিকে বাড়িতে বসেই পালন করতে হবে পান্তা ইলিশের পহেলা বৈশাখ। প্রতি বছর এই দিনে বিভিন্ন মেলা আনন্দ অনুষ্ঠানে মেতে থাকত বাঙালির প্রাণ। প্রাণের উচ্ছ্বাসে এবার আর ঘোরা হলো না। হলো না বৈশাখী মেলায় রমনার বটমূলে গানের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠা।

তবে সবার প্রত্যাশা আগামী বছর নতুন সূর্য নিয়ে পহেলা বৈশাখ আসবে আর প্রাণ ছুঁয়ে দেবে। আবারো নতুন রক্তিম সূর্যের আলোয় শুরু হবে পহেলা বৈশাখ। ইতিহাস অনুসন্ধান করে জানা যায়, ‘পহেলা বৈশাখ’ কিংবা ‘বাংলা নববর্ষে’র গোড়াপত্তন হয়েছে সম্রাট আকবরের হাত ধরে। আমাদের দেশে প্রচলিত বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন মূলত ইসলামী হিজরী সনেরই একটি রূপ বলে পরিচিত। ভারতে ইসলামী শাসনকালে হিজরী পঞ্জিকা অনুসারেই সকল কাজকর্ম পরিচালিত হত।

মূল হিজরী পঞ্জিকা চান্দ্র মাসের উপর নির্ভরশীল। চান্দ্র বৎসর সৌর বসরর চেয়ে ১১ কি ১২ দিন কম হয়। কারণ সৌরবৎসর ৩৬৫ দিন, আর চান্দ্র বৎসর ৩৫৪ দিন। একারণে চান্দ্র বৎসরে ঋতুগুলি ঠিক থাকে না। চাষাবাদের মতো কিছু কাজও ঋতু নির্ভর।

এই উৎসবটি শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”।

এফএম নিউজ

আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী

বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108