প্রতিবেদকঃ সানজিতা আক্তার সাথী
প্রকৃতি ও পরিবেশ বিভাগ
করোনার ছোবল মানুষের সুখ কেড়ে নিলেও সুখে আছে প্রকৃতি; তারই প্রমাণ যেন সেন্ট মার্টিন। প্রকৃতির তার এই লীলাভূমি খুঁজে পেয়েছে সে নিজেই। সৈকতে জন্ম নিয়েছে হাজারো কাছিম ছানা। জন্মের পরেই তারা পাচ্ছে জলে ভাসার আনন্দ। এতদিন পর্যটকদের কারণে যেখানে মা কাছিম ডিম পাড়ার নিরাপদ জায়গাই পেত না সেখানে তাদের এখন অবাধ বিচরণ। নতুন রূপে সেজেছে সেন্ট মার্টিন। এ দ্বীপ ভূখণ্ডটির এমন রূপ আগে কেউ কখনো দেখেনি।
দ্বীপটিতে জন্ম নিয়েছে অগনিত কাছিম ছানা। সমুদ্রের নোনা পানির ছোঁয়া পেয়ে যেন আনন্দে আত্মহারা ছানাগুলো। রাতের আঁধারে ভূমিতে উঠে আসে মা কাছিমের দল। গোপনে ডিম পেরে লুকিয়ে রাখে বালুর নিচে। একদিন দুদিন করে সাত দিন পেরিয়ে বেরিয়ে আসে ছোট কাছিম ছানাগুলো। মা কাছিম থেকে ডিম ফুটে যাবার আগ পর্যন্ত দেখেভাল করে রাখেন কাছিম সংরক্ষণকারিরা। সেন্ট মার্টিন কাছিম সংরক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, “কোনোরকম বাধা না পাওয়ায় কচ্ছপ আসছে এবং যাচ্ছে কোনো বাধা পাচ্ছে না এবং আমরাও এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৭০০ কাছিম ছানা সাগরে মুক্ত করেছি, কাছিম ও আসছে মনের সুখে ডিম পেরে চলে যাচ্ছে।”
মূলত সামুদ্রিক কাছিম রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে অর্থাৎ এই তিন-চার মাস যদি স্থানীয় প্রশাসন যদি নির্দেশ দেন যে, সন্ধ্যার পর সমুদ্রের আশেপাশে কোনো বাতি না জ্বলে তাহলে কাছিম ছানা নিরাপত্তায় তাদের ডিম ফুটিয়ে তা সমুদ্রে নিয়ে যেতে পারে বা কাছিম ছানাগুলো সমুদ্রে ফিরে যেতে পারবে। পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়ে কাছিমের ডিম ফুটানো সৈকতটি ছিল সংকটাপন্ন। তখন ভেসে গেছে কতইনা ডিম। তাই এবার মুক্ত সৈকতে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে কাছিমদের।
গেল ২১মার্চ পর্যটকদের জন্য বন্ধ করা হয় সেন্ট মার্টিন। এরপর থেকেই মুক্ত হয় এই দ্বীপ ভূখণ্ডের প্রকৃতি। শুধু কাছিমই নয় সেন্টমার্টিনে সমুদ্রতলে থাকা নানা প্রজাতির প্রাণীদের জন্য এটা যেন আনন্দের সময়। তারা যেন নিজ বাড়িতে ফিরতে পেরে খুবই খুশি।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108