প্রতিবেদকঃ সানজিতা আক্তার সাথী
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিভাগ
বাংলাদেশে ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দারা। বাংলাদেশে শনিবার পর্যন্ত যে ২,১৪৪ জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৮৭৭ জনই ঢাকার বাসিন্দা, যা আক্রান্তের ৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী মোহাম্মদপুরে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন। এরপরেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ওয়ারি বাসিন্দা ২৮ জন। এরপরে মিটফোর্ডে রয়েছে ২৬ জন। যাত্রাবাড়ীতে ২৫ জন ও লালবাগে ২৩ জন। পুরনো ঢাকার সম্পূর্ণ এলাকায় সবমিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জন। উত্তরায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন, ধানমন্ডিতে ২১ জন। একক মহল্লা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মিরপুরের টোলারবাগে। সেখানে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন।
আরেকটি এলাকা শাঁখারীবাজার আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। বাসাবোতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। ঢাকা তেজগাঁওয়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন ১৬ জন। বংশাল, গেন্ডারিয়া ও হাজারীবাগে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ জন রোগী। গুলশানে সনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন। রাজারবাগ, আজিমপুর ও মিরপুর-১১ প্রতিটা এলাকায় ১৩ জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন। চকবাজার ও মহাখালীতে ১২ জন বাসিন্দা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
মগবাজার, বাবুবাজার ও মিরপুর-১২ তে ১১ জন করে বাসিন্দা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ঢাকার গ্রীনরোডে সনাক্ত হয়েছেন ১০ জন। সূত্রাপুরে ৯ জন, মিরপুর-১, বাড্ডা ও বনানীতে ৮ জন করে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। মিরপুর-১০ এ শনাক্ত হয়েছেন ৭ জন। বসুন্ধরা, ইস্কাটন, মিরপুর-১৪ ও শাহবাগে ৬ জন করে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছেন। আদাবর, আগারগাঁও, জিগাতলা, লক্ষীবাজার নাখালপাড়া ও রমনায় ৫ জন করে রোগী সনাক্ত হয়েছেন।
এছাড়া ঢাকার অন্যান্য এলাকায় কয়েকজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশে শনিবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২,১৪৪ জন। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৬৬ জন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক বলেন বাংলাদেশের যাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে তাদের শতকরা ২৭ ভাগই ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। আক্রান্তদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের হার ২২ ভাগ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের হার ১৯ ভাগ। অর্থাৎ বাংলাদেশে আক্রান্তদের প্রায় ৭০ ভাগের বয়সই ২১ থেকে ৫০ এর ভিতর।
রোগ তন্ত্র, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, আক্রান্তদের মধ্যে ৩২ ভাগই ঢাকার বাসিন্দা। এরপরই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার অবস্থান।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108