ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

0
503

প্রতিবেদকঃ আছিফ রহমান শাহীন

অনিয়ম ও অপরাধ বিভাগ

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৪ নং ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শাহ আলম মিয়ার বিরুদ্ধে ওই মানববন্ধন করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ঘোগাদহ বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জনাব রফিকুল ইসলাম, জনাব নুরুল আমিন, জনাব আবুল কালাম আজাদ, জনাব মোজাফফর হোসেন খোকা, ও সংরক্ষিত নারী সদস্য ফুলোবালা প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা দেওয়া হলেও ইউনিয়নের ২,৩ ও ৫ নং ওয়ার্ডে কোনও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়নি। এবং মেম্বারদের সাথে মিটিং না করে চেয়ারম্যানের পছন্দের লোকদের অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তারা অভিযোগ করেন দীর্ঘদিন থেকে তাদেরকে সম্মানী ভাতা দেয়া হচ্ছে না।

বক্তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত এবং বঞ্চিত হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তার দাবি জানান। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মো. শাহ আলম মিয়ার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সম্পর্কে বলেন, “আজকে করোনায় মানুষের জীবন বিপন্ন, মানুষ যেখানে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার খেতে পারছে না সেখানে মেম্বারা তাদের সম্মানী ভাতা দাবি করছেন। এই মহুর্তে জনগনের কাছ থেকে ট্যাক্স তুলে মেম্ববারদের সম্মানী ভাতা দেওয়াটা কোনভাবেই মানবিক কাজ হবে না বলে মনে করি।তাই তাদেরকে সম্মানী ভাতা টাকা পরে নেয়ার অনুরোধ করেছি। তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানী ভাতা না পেয়ে মানববন্ধন করলো।

আসলে, তারা শুধুমাত্র নিজেদের মঙ্গল চায়, জনগণের মঙ্গল চায় না। আমি ঘোগাদহ ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়ে করোনা দুর্যোগে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন বিপন্ন করে, ট্যাক্স তুলে মেম্ববারের সম্মা ভাতা দিতে পারি না।” মেম্বারদেরকে নিয়ে মিটিং এ না বসার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় কাজ করে এবং তার প্রায় সবাই এলাকায় এসেছে । তাই আমাদের ইউনিয়ন অনেক ঝুকিপূর্ণ। করোনাভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেছি হাটবাজারগুলো এবং জনসমাগমস্থলগুলো লকডাউন করে দিয়েছি।

এই অবস্থায় মিটিং কল করা ঝুকিপূর্ণ তাই সবাইকে প্রতিনিয়ত ব্যক্তিগতভাবে ও ফোনে বিভিন্ন বিষয়ে অবগত করে আসছি।” ত্রাণ বিতরণের অনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চার কিস্তিতে এই ইউনিয়নে মোট ১১ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা ধারাবাহিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে। অনেক অনুরোধ করার পরেও ২, ৩ ও ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বারগণ তালিকা জমা দিচ্ছিলেন না। পরে অবশ্য ৫ নং ওয়ার্ডের তালিকা হাতে পেয়েছি।

তাই বাধ্য হয়েই স্থানীয় লোকদের সহায়তায় তালিকা করে গতকাল ৫ ও ২ ওয়ার্ডে কর্মহীন ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। শীঘ্রই ৩ নং ওয়ার্ডেও পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তা করা হবে। তাহলে কেন আপনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির লোকজনের যোগসাজশে সরকারের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই দেশে দুর্যোগ ও জনগণের দুর্দিনে তারা এই জঘন্য পথ বেছে নিয়েছেন।”

এফএম নিউজ

আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী

বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108