প্রতিবেদকঃ এইচ এম রফিকুল ইসলাম (ভিপি কামাল)
শ্রীমঙ্গল থানা প্রতিনিধি
চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা। দেশের অধিকাংশ চা বাগান এ এলাকায় অবস্থিত। শীত মৌসুম থেকে তীব্র খরার পর বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে দেখা মিলল বহু কাঙ্খিত বৃষ্টির। এ বৃষ্টিতে চা বাগানগুলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। দুটি পাতা একটি কুঁড়িতে ছেয়ে গেছে চা বাগানগুলো। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। এ যেন সবুজের স্বর্গরাজ্য।
চা বিশেষজ্ঞরা এই বৃষ্টিপাতকে চা বাগানের জন্য উপকারী বলে জানিয়েছেন। এ বছর খরা ছিল দীর্ঘমেয়াদী। ফলে চা গাছগুলোর চা পাতা মৃতপ্রায় হতে যাচ্ছিল। বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন চা বাগানে সেচ দিয়েও চা গাছগুলোকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছিলেন না। এ ছাড়া ইরিগেশন অনেক ব্যয়বহুল।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এ এলাকায় চলতি মাসের প্রথম থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টিপাতে বাগান মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। ফলে বাগানের চা গাছগুলোতে নতুন কুঁড়ি বের হয়ে সবুজ গালিচা চারিদিকে আবারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে চলছে লকডাউন। এ পরিস্থিতির মধ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চা বাগানগুলো চালু থাকলেও বাগান কর্তৃপক্ষ সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে সব রকমের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। চা শ্রমিকদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে পাতা তোলার কাজ চালু রয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চা শ্রমিকদের সচেতনা ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার ফলে এখন পর্যন্ত কোন দুঃসংবাদ শোনা যায়নি। ফলে হাজার হাজার কেজি চা পাতা নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
যদিও চা শ্রমিকরা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাধারণ ছুটির জন্য মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন করেছেন। বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান ও ফিনলে টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) গোলাম মোহাম্মদ শিবলি বলেন, চলতি মাসের বৃষ্টিপাতের ফলে চা গাছগুলো সজিবতা ফিরে পেয়েছে। শুধু তাই নয় বৃষ্টিপাতের ফলে নতুন কুঁড়ি বের হয়ে এসেছে। আমরা এরই মধ্যে পাতা তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছি। চা বাগান চালু রাখার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এই চা বিশেষজ্ঞ।
তিনি বলেন, ভারতে এক মাস বন্ধ রাখার পর চা বাগানগুলো চালু হচ্ছে। এক মাসে তাদের যতো ক্ষতি হয়েছে আমরা এই ক্ষতি থেকে পুরোপুরিভাবে বেঁচে গেছি। আমরা এদিক থেকে অ্যাডভানটেজ পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, আমরা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চা শ্রমিকদের মধ্যে মাস্ক, সাবান বিতরণ ও জীবাণুনাশক ছিটিয়ে তাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছি এবং বিশেষ করে নারী চা শ্রমিকদের জন্য নিয়মিতভাবে সেকশনে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ তাদের নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে যাতে চা-পাতা তোলার কাজ করে সে দিকে খেয়াল রাখছি।
এফএমনিউজ…
আপনারএগিয়েযাওয়ারসঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তাবিভাগঃ 01831106108