প্রতিবেদকঃ সানজিতা আক্তার সাথী
ইসলাম ও র্ধম বিভাগ
রামদুন থেকে উৎপত্তি হয়েছে। রমজানের ভাবার্থ হলো, তাকওয়া অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণের মাস। তাকওয়া অর্জন রমজানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। লক্ষ্য হল রমজানের বাইরের বাকি ১১ মাস রমজানের মতো পালন করার সামর্থ্য অর্জন করা, দেহকে হারাম খাদ্য গ্রহণ ও হারাম কর্ম থেকে বিরত রাখা এবং মনকে অপবিত্র চিন্তাভাবনা, হারাম কল্পনা ও পরিকল্পনা থেকে পবিত্র রাখা।
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন: ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; আশা করা যায় যে তোমরা তাকওয়া অর্জন করবে।’ (সূরা বাকারা ১৮৩ নং আয়াত)
বাংলাদেশে গতকাল ২৪ এপ্রিল এবং আরবি ২৯ শাবান শুক্রবার সকল রোজাদাররা দিবাগত রাত ভোর ৪টা ৫ মিনিটের আগেই সেহেরী খেয়েছেন এবং আজ ২৫ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২৮ মিনিটে ইফতার অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) সবসময় চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল থাকতেন সে অনুযায়ী আমাদের চাঁদ দেখার উপরই কবে রোজা শুরু হতে চলেছে তা নির্ভর করে।
অন্যদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে গতকাল ২৪ এপ্রিল ইফতার ও তারাবি নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, ‘রমজানকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এটা এমন এক মাস যে মাসের প্রথম দশ দিন রহমতের বারিধারায় পরিপূর্ণ। মাঝের ১০ দিন ক্ষমা ও মার্জনা লাভের জন্য নির্ধারিত এবং শেষ ১০ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের উপায়রূপে নির্দিষ্ট।’
রমজানের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলতও রয়েছে। তা নিম্নে দেয়া হলঃ
১ম রমজানে রোজাদারকে নবজাতকের মতো নিষ্পাপ করে দেয়া হয়।
২য় রমজানে রোজাদারের মা-বাবাকে মাফ করে দেয়া হয়।
৩য় রমজানে একজন ফেরেশতা রোজাদারের জন্য আবারও আল্লাহর নিকট ক্ষমা ঘোষণা দেন।
৪র্থ রমজানে রোজাদারকে ৪ বড় আসমানী কিতাবের বর্ণ সমান সওয়াব প্রদান করা হয়।
৫ম রমজানে মক্কা নগরীর মসজিদে হারামে নামাজ আদায়ের সওয়াব প্রদান করা হয়।
৬ষ্ঠ রমজানে ফেরেশতাদের সাথে সপ্তম আকাশে অবস্থিত বায়তুল মামূর তাওয়াফের সওয়াব প্রদান করা হয়।
৭ম রমজানে ফেরাউনের বিরুদ্ধে মুসা (আ:) এর পক্ষে সহযোগিতা করার সমান সওয়াব প্রদান করা হয়।
৮ম রমজানে রোজাদারের উপর ইব্রাহিম (আ:)-র মতো রহমত বর্ষিত হয়।
৯ম রমজানে নবী-রাসূলদের সাথে দাঁড়িয়ে ইবাদতের সমান সওয়াব দেয়া হয়।
১০ম রমজানে রোজাদারকে উভয় জাহানের কল্যাণ দান করা হয়।
১১তম রমজানে রোজাদারের মৃত্যু নবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ নিশ্চিত হয়।
১২তম রমজান পালনে হাশরের ময়দানে রোজাদারের চেহারা পূর্ণিমা চাঁদের মতো উজ্জ্বল করা হবে।
১৩তম রমজান পালনে হাশরের ময়দানে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করা হবে।
১৪তম রমজান পালনে হাশরের ময়দানে হিসাব-নিকাশ সহজ করা হবে।
১৫তম রমজানের সমস্ত ফেরেশতারা রোজাদারের জন্য দোয়া করে।
১৬তম রমজানে আল্লাহপাক রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করেন।
১৭তম রমজানে একদিনের জন্য নবীগণের সমান সওয়াব দেয়া হবে।
১৮তম রমজানে রোজাদার এবং তার মা বাবার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির সংবাদ দেয়া হবে।
১৯তম রমজানে পৃথিবীর সকল পাথর, কংকর টিলা রোজাদারের জন্য দোয়া করতে থাকে।
২০তম রমজানে রোজাদারকে আল্লাহর পথে জীবন দানকারী শহীদের সমান সওয়াব প্রদান করা হয়।
২১তম রমজানে রোযাদারের জন্য জান্নাতে একটি উজ্জ্বল প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়।
২২তম রমজানে রোজাদারকে হাশরের ময়দানের সকল চিন্তা থেকে মুক্ত করা হয়।
২৩তম রমজানে রোযাদারদের জন্য জান্নাতে একটি শহর নির্মাণ করা হয়।
২৪তম রমজানের রোজাদারের যে কোনো ২৪ টি দোয়া কবুল করা হয়।
২৫তম রমজান পালনে রোজাদারের কবরের শাস্তি চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হয়।
২৬তম রমজানে রোজাদারকে ৪০বছর ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হয়।
২৭তম রমজান পালনের রোজাদারকে চোখের পলকে পুলসিরাত পার করে দেয়া হয়।
২৮তম রমজান পালনে জান্নাতের নেয়ামত দ্বিগুণ করা হয়।
২৯তম রমজান পালনে রোজাদারকে এক হাজার কবুল হজের সওয়াব প্রদান করা হয়।
৩০তম রমজান পালনে পুরো রমজানের ফজিলত দ্বিগুণ করা হয়।
এদিকে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস রুখতে মুসল্লিদের মসজিদে যাবার পরিবর্তে ঘরে বসে সালাত আদায় করার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন। যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মসজিদে নামাজ স্থগিত করা হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য এসময়টাতে তারাবির নামাজ সরাসরি সম্প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ 01831106108
রেফারেন্স দেন
Comments are closed.