প্রতিবেদকঃ নিশাত বিথি
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিভাগ
চট্টগ্রাম বিভাগের ৬টি জেলায় ২ কোটির বেশি মানুষ থাকলেও ২টি ল্যাবে প্রতিদিন করোনা শনাক্তকরণে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে মাত্র ১৮০টি। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নমুনা পরীক্ষায় ল্যাব ও জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে সক্ষমতা বাড়ানোর কথা জানান বিভাগীর স্বাস্থ্য পরিচালক। চট্টগ্রামসহ বিভাগের ৬ জেলায় ২ কোটির বেশি মানুষের বাস। অথচ প্রতিদিন ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে মাত্র ১৮০টি। এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছে ২৩২ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বিএমএ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মুইজ্জুল আকবর চৌধুরী বলেন, দ্রুত যদি রিপোর্ট না পাই, তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা সবাই ঝুঁকির মুখে থাকছি। শুধু পরীক্ষা কম নয়, জমে যাচ্ছে সংগ্রহ করা নমুনার স্তূপও। গত ১৪ এপ্রিল সাতকানিয়ায় একই পরিবারের ৫ জন আক্রান্ত হওয়ার পর হটস্পট ঘোষণা করা হলে নতুন করে ২০ এপ্রিল আরো ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৬দিন লাগে ফলাফল আসতে। পরে ফলাফলে আসে সবাই পজেটিভ। একজন চিকিৎসকের ফলাফলও আসে ৬ দিন পর।
সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এখানে প্রতিটি ল্যাবের একটি সক্ষমতা আছে। তার তুলনায় অনেক বেশি নমুনা আসছে। এই কারণে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। এদিকে নমুনা পরীক্ষার ল্যাব ও জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে সক্ষমতা বাড়ানোর কথা জানান বিভাগীর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম বিভাগ পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চালু হচ্ছে ৮-১০ তারিখের মধ্যে। সেখানে আমরা আরো নমুনা সংগ্রহ করতে পারবো। চট্টগ্রাম ছাড়া ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও দুই পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির রোগীদের এটাই ভরসা। তথ্যসূত্রঃ সময় নিউজ।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ01831106108