প্রতিবেদকঃ আছিফ রহমান শাহীন
আর্ন্তজাতিক বিভাগ
আজ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার জন্মদিন। তিনি ১৯৬২ সালের ১ মে জন্ম গ্রহণ করেন। এক নজরে এই কুটনৈতিক এর বর্নাঢ্য কর্মময় জীবনঃ হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
তিনি একজন ভারতীয় কূটনীতিক এবং ভারতের বর্তমান ৩৩তম পররাষ্ট্রসচিব। এরপূর্বে তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশে হাইকমিশনার এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি তিনি ভারতের বিদেশ সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শ্রী শ্রিংলা আজমির মায়ো কলেজে স্কুল পড়ার পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজে স্নাতক শিক্ষা শেষ করেন। তিনি ভারতীয় বিদেশী পরিষেবায় যোগদানের আগে ভারতীয় কর্পোরেট খাতে কাজ করেছিলেন।
কর্মময় জীবনের ১৯৮৪ সাল থেকে কূটনৈতিক কর্মজীবনের ৩৬ বছর ধরে তিনি নয়া দিল্লি ও বিদেশে অবস্থানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। শ্রী শ্রিংলা বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং থাইল্যান্ড কিংডমে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি ফ্রান্সেও (ইউনেস্কো) দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশন, ভিয়েতনাম (হ্যানয় এবং হো চি মিন সিটি), ইস্রায়েল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা (ডারবান) এ তার উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান।
শ্রিংলা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার এবং মালদ্বীপের দায়িত্বে থাকা যুগ্মসচিব (মহাপরিচালক) হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন ও নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মন্ত্রণালয়ে থাকাবস্থায় জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও সার্ক বিভাগেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর আগে, তিনি নেপাল ও ভুটানের সাথে কাজ করে উত্তর বিভাগের পরিচালক এবং ইউরোপ পশ্চিম বিভাগের উপ-সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি জানুয়ারি ২০১৬ থেকে জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আইসিএফএআই বিশ্ববিদ্যালয়, সিকিম তাকে কূটনীতির দক্ষতা অর্জন এবং তার সুনামের জন্য ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে ডি লিট হোনরিস কাউসুয়া সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেন। তাছাড়াও তিনি ২০১৩ সালে মায়ো কলেজ, আজমির কর্তৃক আউটমাস্টিং প্রাক্তন ছাত্রদের জন্য জেটি গিবসন পুরস্কারে ভূষিত হন। সেন্টার ফর বাংলাদেশ ইন্ডিয়া রিলেশন এর বাংলাদেশের সমন্বয়ক এড. শুভাশিস সমদ্দার শুভ বলেন, শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জী এমন একজন রাস্ট্রদূত ছিলেন বাংলাদেশে তার সময়ে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বহু-মুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকে বিশাল অগ্রগতি লক্ষ্য অর্জন করে।
তিনি আরো বলেন, ততকালিন রাষ্ট্রদূত শ্রিংলা ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাছাড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য একটি নতুন অধ্যায় যোগ করেছিলেন। শ্রীংলা জীকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি ‘সোনালী অধ্যাধ্যায়ের’ শিরোনাম হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। তার সময়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করে। রাষ্ট্রদূত শ্রিংলা ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সীমানা ওয়ার্কিং গ্রুপের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাছাড়া নয়াদিল্লিতে যুগ্মসচিব (জেএস) হিসাবে বাংলাদেশের সাথে স্থলসীমা চুক্তির চূড়ান্ত করার কৃতিত্বও তার। শ্রিংলা ইংরেজি ও ভারতীয়, ফরাসি, ভিয়েতনামী এবং নেপালি ভাষায় পারদর্শী। তার বিয়ে হয়েছে হেমাল শ্রিংলার সাতে এবং তাদের একমাত্র ছেলের নাম অশোকা শ্রিংলা। জন্মদিনের এই শুভক্ষণে বাংলাদেশের সকল মানুষের পক্ষ থেকে এফএম নিউজ এই কর্মবীর ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অন্যতম বন্ধুর জন্মদিনে প্রাণ ডালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। সিবিআইআর এর প্রধান সমন্বয়ক বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনৈতিক এবং সমাজসেবক এড.শুভাশিস সমদ্দার এই কীর্তিমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ01831106108