প্রতিবেদকঃ মোঃ এমরান হোসেন মজুমদার
ইসলাম ও র্ধম বিভাগ
করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ মাসজিদে আদায় করার নির্দেশ জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনায় এসব বিষয় জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্যও অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ঈদের নামাজে সরকারি নির্দেশাবলীঃ
১: ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।
২: নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৩: মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
৪: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা, মসজিদের প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা।
৫: প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে আসা এবং অজুর সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৬: ঈদের নামাজের জামাতে আসা মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
৭: মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৮: ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে ও এক কাতার অন্তর কাতার করতে হবে।
৯: শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
১০: এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
১২: মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহারের অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এই নিয়ে ফেনীতে চলছে প্রচারণা। মাইকিং এর মাধ্যমে জনসাধারণকে অবগত করা হচ্ছে। ২১ মে সাড়াদিন ব্যাপি চালানো হয় এই প্রচারণা। ফেনী শহর থেকে শুরু করে, ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চলে সারাদিন ব্যাপি চলে এই প্রচারণা। তা ছাড়াও মসজিদের ইমামদেরকে চিঠির মাধ্যমে এ ব্যাপারে অবগত করা হয়।
এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ01831106108