অনিয়ম ও অপরাধ বিভাগ
প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় রিমু (২০) নামে এক কলেজছাত্রী অপহরণ করে হত্যার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।নিহতের স্বজনরা জানান, নীলফামারী জলঢাকার কচুকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা রুবাইয়া ইসলাম রিমু রংপুর কারমাইকেল কলেজে বাংলা বিভাগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। করোনা মহামারিতে দেশে লকডাউন শুরু হলে রিমু নিজ বাড়িতে থাকতেন। সেখানে টাঙ্গনমারী নামক বাজারে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। সেখানে যাতায়াতের সময় রিমুকে প্রতিদিন উত্যক্ত করকেন স্থানীয় কচুকাটা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ হোসেনের ছেলে ফয়সাল (২৪)। ঘটনাটি রিমু তার বাবা ও বড় ভাইকে জানালে বড়ভাই ফয়সালকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়েছে রিমুকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন ফয়সাল। সোমবার সকাল ১১টায় প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফয়সাল ও একই এলাকার জাহিদুল হোসেন মাস্টারের ছেলে রিজভী (২৪) জোর করে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে রিমুকে জলঢাকার রাজারহাট বাজারের অদূরে একটি ফাঁকা ব্রিজের কাছে চলন্ত অবস্থায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটকে রিমুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বাধ্য করেন।

তারা আরও জানান, পরে ফয়সাল ও রিজভী রিমুকে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে রিমুর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যায় রিমুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে লিফটে রিমু মারা গেছেন নিশ্চিত হয়ে লাশ ফেলে পালিয়ে যান তারা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ হিমঘরে রাখে। রিমুর নানা মো. আবু তালেব বলেন, আমার নাতনিকে প্রতিদিনই ফয়সাল ও রিজভী উত্যক্ত করতো। রিমুর বাবা তাদের শাসন করায় ক্ষোভে পরিকল্পিতভাবে রিমুকে হত্যা করেছে তারা। আমি ফয়সাল ও রিজভীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, নিহতের বাবা আব্দুর রাজ্জাক থানায় মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত করে।বিজ্ঞাপন, টাচ করুন।
কানাডায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে জুলহাস নামে এক ব্যক্তিকে ভিয়েতনামে নিয়ে দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে দেশে ফিরতে পারলেও বিদেশে যাওয়ার জন্য দেওয়া টাকা আর ফেরত পাননি তিনি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুন্সি আবদুল্লাহ আল জাকিরকে বুধবার রাজধানীর শাহজাহানপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-৩-এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এসএসপি ফারজানা হক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল্লাহ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নজনকে ভিয়েতনামে পাচারের কথা স্বীকার করেছে। চাকরিপ্রত্যাশীদের সেখানে আটকে রেখে তাদের পরিবারকে ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে সে। এভাবে আবদুল্লাহ বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

অন্যদিকে, র্যাবের একটি দল ঢাকার কদমতলীর শ্যামপুর বাজার থেকে মানব পাচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো মো. মুন্না, আনোয়ার হোসাইন ও ইমরান।
র্যাব-১০-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তাররা পেশাদার নারী ও শিশু পাচারকারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পরের যোগসাজশে অবৈধভাবে নারী-শিশুদের বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। ওই নারী-শিশুদের বিদেশে নিয়ে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
- সূত্রঃ সমকাল।
————————-
আপনার প্রিয় সব তারকাদের সাক্ষাৎকার দেখতে নিচের পোস্টারে টাচ করুন-

এফএম নিউজ…
আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী…
বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ01831106108 http://www.ushareit.com