বিশ্বের ১১১টি দেশে বাবা দিবস আজ

বাবা ও সন্তানের ফাইল ছবি
বাবা ও সন্তানের ফাইল ছবি

প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের ১১১টি দেশে পালিত হয় বাবা দিবস। বাবার প্রতি ভালোবাসা জানাতে সারা বিশ্বেই উদযাপন করা হয় দিনটি। প্রতিটি মানুষের জীবনে তাদের মা-বাবাই সবচেয়ে আপনজন। তাদের ভালোবাসায় বেড়ে ওঠে সন্তানেরা। একজন বাবা তার সারাটি জীবন ব্যয় করেন সন্তানদের পেছনে, পরিবারের পেছনে। বলে শেষ হবে না সন্তানের প্রতি, সংসারের প্রতি বাবার অবদানের কথা।

বিজ্ঞাপন, টাচ করুন।
বিজ্ঞাপন, টাচ করুন।

বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। আর বাবার তুলনা বাবা নিজেই। কিন্তু উপমহাদেশের দেশগুলোতে দেখা যায়, মায়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও বাবার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব থাকে সন্তানদের। কিন্তু তাই বলে বাবার ভালোবাসা কম নয়। সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই প্রতিবছর দেশে দেশে পালিত হয় এ দিনটি। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই দিবসটি পালন করা শুরু হয়েছে।

হাদীসে আছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতার সন্তুষ্টিতে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতার অসন্তুষ্টিতে নিহিত।’ (তিরমিযি-১৮৯৯)। সনাতন ধর্মমতে, ‘পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহী পরমং তপঃ, পিতরী প্রিতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্বদেবতা’ এর অর্থ হচ্ছে- পিতা স্বর্গ, পিতাই ধর্ম, পিতাই পরম তপস্যা। পিতাকে খুশি করলে সকল দেবতা খুশি হন।

all Modhuবিজ্ঞাপন, টাচ করুন।

এই নিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়- মা দিবস কয়েকশো বছর ধরে পালন করা হচ্ছে, কিন্তু সেই তুলনায় বাবা দিবসটি অনেক নতুন। দিবসটি সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম চালু হয়েছে এবং এর শুরু নিয়ে বেশ কয়েকটি গল্প আছে।

সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সম্ভবত গ্রহণযোগ্য গল্পটি হলো, ওয়াশিংটনের সোনোরা লুইস স্মার্ট নামের একজন নারী এই দিন উদযাপন শুরু করেন। ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে তার মা মারা গেলে তার বাবা পরিবারটিকে বড় করে তোলেন। ১৯০৯ সালে সোনোরা গির্জার একটি বক্তব্যে মা দিবসের কথা জানতে পারেন। তখন তার মনে হলো, বাবার জন্যেও এরকম একটি দিবস থাকা উচিত। স্থানীয় বেশ কয়েকজন ধর্মযাজক তার এই আইডিয়াটি গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপনে টাচ করুন।
বিজ্ঞাপনে টাচ করুন।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে ৫ জুলাই এই দিবস পালন করা হয়। মিসেস গ্রেস গোল্ডেন ক্লেটনের উদ্যোগেই মা দিবসের আদলে দিবসটি প্রথম পালিত হয়। ১৯০৭ সালের একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ২১০ জন বাবার স্মৃতি চারণে পালিত হয় বাবা দিবস। তবে তা নিয়মিত হয়নি। তার দুই বছর পর ১৯১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনোরা স্মার্ট ডট নতুন পরিসরে বাবা দিবস পালন করে। সেনোরাকেই বাবা দিবসের উদ্যোক্তা মনে করা হয়।

বিজ্ঞাপন, টাচ করুন
বিজ্ঞাপন, টাচ করুন

১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন। তবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ সেপ্টেম্বরের প্রথম রবিবার বাবা দিবস পালন করে থাকে। বাংলাদেশেও আমরা চারপাশে তাকালেই দেখতে পাই বাবা দিবসে বাবাকে নিয়ে মধুর মধুর সম্বোধন। যার বাবা নেই একমাত্র সে-ই জানে বাবা না থাকার বেদনা। বাবাকে কে না ভালবাসে! বাবা সব সন্তানের কাছেই পরম আপন। সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় তার বাবা। দিবসটিতে পৃথিবীর সকল বাবাদের জন্য শুভেচ্ছা।

————————–

আপনার প্রিয় সব তারকাদের সাক্ষাৎকার দেখতে নিচের পোস্টারে টাচ করুন- 

 পোস্টারে ক্লিক করুন
পোস্টারে ক্লিক করুন

এফএম নিউজ

আপনার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী

বিজ্ঞাপন+বার্তা বিভাগঃ01831106108